স্কটল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) সঙ্গে থাকা গ্রুপে পরিষ্কার ফেবারিট থেকেই বিশ্বকাপ শুরু করছে বাংলাদেশ। তবে মাঠের বাইরের সেই সমীকরণে বিশ্বাস নেই স্কটল্যান্ডের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্কটিশ কোচ শেন বার্জারের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, গ্রুপ পর্বে তারা বাংলাদেশকে অন্য দুই প্রতিপক্ষের চেয়ে ওপরে রাখেন না মোটেও। ‘বি’ গ্রুপের লড়াই দিয়েই ওমানে রোববার শুরু হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওমান ও পিএনজি। একই দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ড খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাঠেই লড়াই শুরুর আগে স্কটল্যান্ডের কোচ অনেকটা হুঙ্কার ছুঁড়েই বললেন, গ্রুপ পর্বে রাজত্ব করতে চান তারা।

“আমরা জানি, নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে আমরা সব দলকেই বিপাকে ফেলতে পারব, অ্যাজ সিম্পল অ্যাজ দ্যাট। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ সব দলকেই কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা, তা বাংলাদেশ হোক বা ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি।” “গ্রপ ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশকে আমরা পিএনজি বা ওমানের চেয়ে ওপরে কোথাও দেখি না। আমরা জানি, সব দলই আমাদের দিকে তেড়ে আসবে (জয়ের জন্য)। তবে আমরা তাদের সবার জন্যই হব সবচেয়ে বড় ম্যাচ।

আমরা প্রস্তুত।” স্কটিশদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে বেশ কজন। ব্যাটিং-বোলিংয়ে গভীরতাও অনেক। তাদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। গত ১০ দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চারটি ম্যাচ খেলে তারা জয় পেয়েছে সবকটিতেই। গত ৫ অক্টোবর তারা হারায় আয়ারল্যান্ডকে, যে দলের কাছে পরে প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর স্কটিশরা হারায় পিএনজি, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়াকে। “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে আমাদের দুর্দান্ত মোমেন্টাম দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়গুলো। চাপটার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমরা, বড় মুহূর্তগুলো জয়ের অভ্যাস গড়েছি। ভুলও করেছি, তবে গত এক মাসে সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা।”